৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

আজ সারাদেশে পলিত হবে বরকত ময় ভাগ্য রজনী শবেবরাতের রাত

শিল্পী আক্তার রংপুরঃ

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) শবে বরাত বা লাইলাতুল বরাত।
১৪ই শাবানের দিবাগত রাতকে শবেবরাত বা সৌভাগ্য রজনী হিসেবে মনে করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ রাতে মহান আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি লাভের আশায় সারা বিশ্বের মুসলমানরা ইবাদত-বন্দেগিতে সময় কাটান। নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির ও ধর্মীয় আলোচনার মাধ্যমে অতীতের পাপ ও অন্যায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা এবং ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।

বিশ্ব মুসলিমবাসীর বিশ্বাস, এ রাতে আল্লাহর পক্ষ থেকে ক্ষমা ও আশীর্বাদ লাভ করে থাকে অসংখ্য বান্দা। এ জন্যই এ রজনীকে আরবিতে ‘লাইলাতুল বরাত’ বা ‘নিষ্কৃতি ও মুক্তির রজনী’ বলা হয়।ফারসি ভাষায় ‘শব’ শব্দের অর্থ রাত। আর ‘বরাত’ শব্দের অর্থ সৌভাগ্য। আরবিতে একে বলে ‘লাইলাতুল বরাত’, অর্থাৎ সৌভাগ্যের রাত। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী, আল্লাহ এই রাতে তাঁর বান্দাদের গুনহা (অপরাধ) মাফ (ক্ষমা) করে দেন, জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন।পবিত্র এই রাতে তাই ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পরম করুণাময় আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় নফল নামাজ পড়েন, কোরান তিলাওয়াত করেন এবং জিকিরে মগ্ন থাকেন। অতীতের পাপ–অন্যায়ের জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করার সময়ও এটি। একই সঙ্গে ভবিষ্যৎ জীবনের কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।অনেকেই এদিন রোজা রাখেন এবং গোপনে দান-খয়রাতের কাজ করে থাকেন। অনেকে, এই রাতে তাঁদের মৃত পূর্বপুরুষদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য প্রার্থনার আয়োজন করেন। এই পবিত্র রাতে ধর্মপ্রাণ মুসলীমরা আত্মীয়-প্রতিবেশী-দুঃস্থ মধ্যে হালুয়া, ফিরনি সহ নানা রকমের খাবার বিতরণ করে থাকে। রাতে মসজিদ, কবরস্থান এবং মাজারে গিয়ে প্রার্থনা করেন।পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। পবিত্রতা রক্ষা র আহবান জানিয়েছেন।পবিত্র শবেবরাত মুসলমানদের কাছে পবিত্র রমজানের আগমনী বার্তাও নিয়ে আসে। শাবান মাসের পরে আসে পবিত্র রমজান মাস। তাই শবেবরাত থেকেই কার্যত রমজানের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। বরাবরের মতো এবারও পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশের সকল মসজিদে বিশেষ ইবাদতের ব্যবস্হা করা হয়েছে।বিশেষ করে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ওয়াজ, দোয়া মাহফিল, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত, হাম্‌দ-নাতসহ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন