৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কালিগঞ্জে রূপা সমবায় সমিতির গ্রাহকদের কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

তাপস কুমার ঘোষ সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

কালিগঞ্জ উপজেলায় ভুয়া সনদ ও সাইনবোর্ড লাগিয়ে নলতা ও ফতেপুর শাখায় গ্রাহকদের ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অফিস ঘেরাও করে টাকা ফেরত পাবার দাবীতে বিক্ষোভ করেছে শতশত গ্রাহক। সোমবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় উপজেলার ফতেপুর শাখা অফিসের সামনে শত শত গ্রাহকের ভিড় জমে এক পর্যায়ে গ্রাহক ঋণের টাকা ও ডিপি এস এর টাকা নিতে আসলে অফিসের ম্যানেজার দিলীপ সরকারের সাথে তাদের বাক বিতন্ডা হয়। অবস্থা বেগতিক দেখে দুর্নীতিবাজ ম্যানেজার গা ঢাকা দেয়।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, রুপা সমবায় সমিতি নামের একটি এনজিওর প্রধান কার্যালয় উপজেলার নলতায়। “রূপা “উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গরিব ও অসহায় মানুষকে ঋণ ও ডিপি-এস’ এর ডাবল লাভ প্রলোভন দেখিয়ে সঞ্চয় আদায় করে। এছড়াও বিভিন্ন এলাকার নারীদের কাছ থেকে বিভিন্ন অঙ্কের টাকা নেয়। ঋণ প্রদানের ফাঁদে ফেলে এসব গ্রাহকের ডিপি এস এর এককালীন সঞ্চয় গ্রহণ করে তারা। ঘটনাটি ফতেপুর রুপা সমবায় সমিতি শাখা অফিস এলাকা নিজস্ব ভবনে ঘটেছে। সংবাদ পেয়ে অফিসের সামনে জড়ো হন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা।সরেজমিন সূত্রে জানাগেছে, ভুক্তভোগী মহদেব সরদার-৫০ হাজার,সহদেব সরদার-২৫ হাজার, অনাম্তো সরদার-২ লাখ ৩০ হাজার,জগো সরদার- ২০ হাজার, দেববত সরদার-৫০ হাজার, সুভাষ বাসার ৩ লাখ টাকা, আমিও হাজরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, কল্পনা হাজরা ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, খেন্তো রানি হাজর-১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা, পলক হাজরা-১ লাখ টাকা, তাপস হাজার -১ লাখ টাকা, অনিমা রানি ২ লাখ ৫৬ হাজার টাকা,বিদেশ হাজার-২০ হাজার, গুরু ৫ লাখ টাকা, সর পাল-২ লাখ টাকা, বুদো পাল-৫০ হাজার , দিলিপ ঢালি-২ লাখ টাকা সহ প্রায় ১৭০ থেকে ২৮০ জন ব্যক্তি বিভিন্ন অঙ্কের টাকা জমা দিয়েছে বলে এ প্রতিনিধিকে জানায়।ভুক্তভোগী একজন বলেন, আমি গরিব মানুষ আমি প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেলাম।আমি এর বিচার চাই। আরেক ভুক্তভোগী বলেন, প্রতারকরা গত এক বছর আগে আমাদের গ্রামে এসে স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদি ঋণ ও পণ্য দেয়ার নামে কয়েকজনের কাছ থেকে কয়েক হাজার টাকা নেয়।আমরা এই প্রতারকদেরকে খুঁজে বের করে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।এ বিষয়ে (রুপা সমবায় সমিতির) প্রধান পরিচালক মনিরুল ইসলাম মুঠোফোনে প্রতিনিধিকে জানান- আমার রুপা সমবায় সমিতির সকল গ্রাহকদের ডিপি-এস ও সঞ্চয়ের টাকা আমি ফেরত দেব, বর্তমান আমার দেয়ার কোন সক্ষমতা নাই। শাখা ম্যানেজার দিলীপ সরকার জানান, আমরা এখন কোন টাকা দিতে পারবো না গ্রাহকদের, আমার পরিচালক মনিরুল ইসলাম তার বর্তমান টাকা দেওয়ার কোন ক্ষমতা নাই, আমার সাথে বলে কোন লাভ নাই।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন