৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক

নিউজ ডেক্সঃ
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, জাতীয় অধ্যাপক ডা. আব্দুল মালিকের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মালিক বাংলাদেশের হৃদ্রোগ চিকিৎসার পথিকৃত ছিলেন। একাধারে তিনি ছিলেন একজন সফল চিকিৎসক, খ্যাতনামা শিক্ষক এবং সমাজসেবক।
তিনি বলেন, মানবহিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য আব্দুল মালিক নানাভাবে পুরষ্কৃত এবং প্রশংসিত হয়েছেন। বাংলাদেশে হৃদ্রোগ চিকিৎসার ক্ষেত্রে তার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ডা. আব্দুল মালিকের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও দেশের প্রথিতযশা হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার (অব.) ডা. আব্দুল মালিক। তার বয়স হয়েছিল ৯৪।আব্দুল মালিক ১৯২৯ সালের ১ ডিসেম্বর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কুচাই ইউনিয়নের পশ্চিমভাগ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মরহুম ফুরকান আলী, মাতার নাম মরহুমা সৈয়দা নুরুন্নেছা খাতুন। প্রাইমারি স্কুল শেষে ১৯৩৯ সালে সিলেট সরকারি হাইস্কুলে ভর্তি হন। ১৯৪৭ সালে মেট্রিক (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে স্টার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং সরকারি বৃত্তি পান। তখন এ ধরনের ফলাফল বেশ গৌরবের বিষয় ছিল।মেট্রিক পাসের পর সিলেট সরকারি এমসি কলেজে ভর্তি হন। ১৯৪৯ সালে আইএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তখন পূর্ব পাকিস্তানে কেবল একটাই বোর্ড ছিল, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। এই পরীক্ষায় তিনি ১১তম স্থান অর্জন করেন।
আইএসসি পাসের পর ১৯৪৯ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৫৪ সালে নভেম্বর মাসে মেডিকেল কলেজের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হন।১৯৫৮ সালে তাকে সিএমএইচ (সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল) পেশোয়ারে কর্নেল আজমিরের কাছে মেডিকেল স্পেশালিস্টের যোগ্যতা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এতে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন।
১৯৬৩ সালে সরকার তাকে বিলেতে পাঠায় উচ্চশিক্ষার জন্য। ১৯৬৪ সালে তিনি এমআরসিপি পাস করেন এবং হ্যামার স্মিথ হসপিটাল অ্যান্ড পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিকেল স্কুল, লন্ডন থেকে কার্ডিওলজিতে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন