
হৃদয় মজুমদার পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
মানবিক কাজ ও মতুয়াধর্ম প্রচার ও প্রসারের অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ সম্মাননা পেলেন পিরোজপুর সদর উপজেলার মাছিমপুরের মৃত শ্রী ললিত কুমার হালদার।গত শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গনে শ্রীশ্রী হরি-গুরচাঁদ মতুয়া মিশনের আয়োজনে আন্তর্জাতিক মতুয়া প্রতিনিধি সম্মেলন ঢাকা ২০২৩ এ শ্রী ললিত কুমার হালদারের পরিবারের কাছে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রীশ্রী হরি -গুরুচাঁদ মতুয়া মিশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মহামতুয়াচার্য শ্রী পদ্মনাভ ঠাকুর, অনুষ্ঠানের প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনমাননীয় কৃষি মন্ত্রিয় জনাব ড.মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব কর্নেল (অবঃ) মুহাম্মদ ফারুক খান, এমপি ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য , অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীশ্রী হরি- গুরুচাঁদ মুতায়া মিশনের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি শ্রীমতি সুবর্না ঠাকুর সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।শ্রী ললিত কুমার হালদার পিরোজপুরের মাছিমপুর হালদার বাড়িতে জন্ম গ্রহন করেন। তারা দুই ভাই ও এক বোন ছিলেন । শ্রী ললিত কুমার হালদার ছিলেন ভাইদে মধ্যে বড়। শ্রী ললিত কুমার হালদার পিরোজপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেন। পরবর্তীতে পিরোজপুর আদালতে এ চাকুরী করেন। শ্রী ললিত কুমার হালদার মানুষের সেবায় বিভিন্ন কাজ করেছেন। ১৯২৮ সালে পিরোজপুরের মাছিমপুরে শ্রীশ্রী হরি-গুচাঁদ গোপালচাঁদ মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। শিক্ষা বিস্তারের জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভূমি দান করেন। কলেজে মতুয়া ছাত্র – ছাত্রীদের বিনা খরচে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেন। গ্রামের গরিব মানুষদের উন্নতির জন্য বিনা সুদে ঋণের ব্যবস্থা করে দিতেন। তিনি গুরু দক্ষিণা হিসেবে শ্রী গোপাল সাধু ঠাকুরকে সোনার মোহর দান করেন। যা মতুয়াদের মধ্যে একমাত্র উল্লেখ যোগ্য ঘটনা। শ্রী ললিত কুমার হালদার জাতপাত ও বর্ণ প্রথার বিরুদ্ধে সোচ্ছার ছিলেন। তিনি হরিনাম প্রচার ও প্রসারে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কাজ করে গেছেন। শ্রী ললিত কুমার হালদার ১৯৮৫ সালে ৬ জানুয়ারি রবিবার বার্ধক্যজনিত কারনে নিজ বাড়িতে মৃত্যু বরন করেন।শ্রী ললিত কুমার হালদার সম্মাননা পাওয়াতে পিরোজপুরের বিভিন্ন মহল আনন্দিত।
