
মধুরছড়া ও ময়নার ঘোনা ক্যাম্পেও দেখা গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের শিশুদের শিক্ষা আর মনোবিকাশে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)সহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার চেষ্টার কমতি নেই। তবে উন্নয়ন কর্মীরাই বলছেন, এসব সেন্টারের মাধ্যমে ক্যাম্পের শিশুরা পড়ালেখার কিছুটা সুযোগ পাচ্ছে। তবে প্রয়োজনের তুলনায় তাদের এই প্রচেষ্টা নিতান্তই কম। অনেক শিশু বঞ্চিত রয়েছে শিক্ষার সুযোগ থেকে। এনজিও মুক্তির এক কর্মকর্তা জানায় , বিভিন্ন এনজিওর পরিচালিত অন্তত এক হাজার ২০০ শিক্ষাকেন্দ্র থেকে ৩০টি ক্যাম্পে রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষাদান করা হচ্ছে। তবে এগুলো যথেষ্ট না হওয়ায় আরো শিক্ষাদান কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।শিক্ষাদান কেন্দ্রগুলোর কয়েকজন শিক্ষক জানান, রোহিঙ্গারা শিক্ষায় অনেক পিছিয়ে আছে। তবে শিশুরা শিক্ষা নিতে আগ্রহী। বেশিরভাগ শিশু নিয়মিত স্কুলে এলেও অনেককে আবার ঘর থেকে ডেকে আনতে হয়। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী এসব সেন্টারে শিশুদের অঙ্ক ও ইংরেজি শেখানো হয়। পাশাপাশি তাদের বার্মিজ ভাষা শেখাতে অপেক্ষাকৃত শিক্ষিত রোহিঙ্গাদের সাহায্য নেয়া হয়।রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে গেলে যাতে বোঝা হয়ে থাকতে না হয়, এ কারণে তাঁদের বিভিন্ন জীবনমুখী প্রশিক্ষণ দেওয়ার এ উদ্যোগ। এ চিন্তা থেকে রোহিঙ্গা শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক পড়ালেখা করানোরও উদ্যোগ আছে আশ্রয়শিবিরগুলোতে। ২০১৮ সাল থেকে এখানে পড়ালেখা শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়।