৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ফটিকছড়িতে অবৈধ ভাবে মাটি কাটার সময় ৩ টি এক্সকেভেটর ও ১ টি ড্রাম ট্রাক জব্দ

গভীর রাতে অভিযান!

রফিকুল আলম :

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার সর্বত্র এখন চলছে অবৈধ ভাবে নদী ও খাল থেকে বালি উত্তোলন করে পাচার এবং পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি পাচার রোধ করতে প্রশাসন হিমশিম খাচ্ছে। বালি ও মাটি পাচার বন্ধে উপজেলা প্রশাসন ম্যারাথন অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। এসবে জড়িত স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সিন্ডিকেট। গত বুধবার (৮ নভেম্বর) দিবা গত রাতে উপজেলা প্রশাসন টিলা কেটে মাটি পাচার করার সময় নারায়নহাট ইউপি’তে অভিযান চালিয়ে ৩টি এক্সকেভেটর মেশিন ও একটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার দক্ষিন ফটিকছড়ির সর্তা ও তেল পারাই খাল,উপজেলা সদরের পূর্বে লেলাং খাল, সদর এলাকার ধুরুং নদী, উপজেলার পাইন্দং, ভূজপুর, নারায়ণহাট, সুয়াবিল ও হারুয়াল ছড়ি ইউনিয়নের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদীর প্রায় শতাধিক স্থানে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে পাচার করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাছাড়া জেলা প্রশাসন হতে নদী ও খালের বিভিন্ন স্থান বালি উত্তোলনের জন্য ইজারা প্রদান করা হয়। ইজারাদার বালি উত্তোলনের শর্ত ভঙ্গ করে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করে স্তুপ করে রাখে। ফলে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলনের কারনে গভীরতা সৃষ্টি হয়ে নদী ও খালের বাঁধ প্রতিনিয়ত ভেঙ্গে যাচ্ছে।অন্যদিকে পাহাড় ও টিলা কেটে মাটি পাচারের যেন প্রতিযোগিতা চলছে উপজেলার বাগান বাজার, দাঁতমারা,নারায়নহাট,ভূজপুর,হারুয়ালছড়ি,সুয়াবিল,লেলাং,কাঞ্চননগর ও খিরাম ইউনিয়নে। অবৈধভাবে এসব মাটি ও বালি পাচারের স্থান গুলো হতে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে  থাকে  ২/৩ শ্রেনীর লোকজন।এদিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় মাটি ও বালি পাচার রোধ করতে উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সভায় বলেন,রাজনৈতিক ছত্র ছায়ায় বা যে কোন উপায়ে অবৈধ ভাবে পাহাড়,টিলার মাটি ও নদী-খাল হতে যেন বালি পাচার না হয়, সে জন্য কঠোর ভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে। কাউকে যেন ছাড় দেয়া না হয়।


অপরদিকে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলাম গত বুধবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে উজেলার ভূজপুর থানাধীন “মা জান” চা বাগান সংলগ্ন হাসনাবাদ সড়কের পাশে অবৈধভাবে অনুমতিবিহীন পাহাড় ও টিলা কাটার দায়ে ‘মা-মনি এগ্রো’ কোম্পানির অভ্যন্তর থেকে স্থানীয় জনসাধারণের উপস্থিতিতে ৩টি এক্সকেভেটর মেশিন ও একটি ড্রাম ট্রাক জব্দ করে। তৎমধ্যে ১টি এক্সকেভেটর ও ১টি ড্রাম ট্রাক স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদের জিম্মায় দিয়ে বাকি দু’টি এক্সকেভেটর উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়ে আসা হয়েছে। এ অভিযানের সময় ভুজপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি সহায়তা করেন। জানতে চাইলে,সহকারী কমিশনার (ভূমি) এটিএম কামরুল ইসলাম বলেন, জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন