৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

জানুয়ারির প্রথমার্ধে ভোট, পর্যবেক্ষণে বিদেশিদের আবেদন ২১ নভেম্বরের মধ্যে

নিউজ ডেক্সঃ
আগামী জানুয়ারির প্রথমার্ধে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমকে ভোটে দায়িত্ব পালনের জন্য আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে হবে বলে এক নোটিশে জানিয়েছে ইসি।নোটিশে বলা হয়েছে, ‘আগামী জানুয়ারির প্রথমার্ধে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত পর্যবেক্ষণকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকি। নির্বাচন সংক্রান্ত সব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষকদের পর্যবেক্ষণের জন্য উন্মুক্ত।’এতে আরও বলা হয়, ‘অবাধ, নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য এবং সহিংসতা মুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সব সময়েই প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমরা চাই, আমাদের দেশি পর্যবেক্ষকদের মতোই বিদেশি পর্যবেক্ষক ও গণমাধ্যমগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। এরই অংশ হিসেবে আমরা আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক বা পর্যবেক্ষণ সংস্থা এবং বিদেশি গণমাধ্যমগুলোকে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের আমন্ত্রণ জানাই। ইসির এ সংক্রান্ত গাইডলাইন অনুসরণ করে আগামী ২১ নভেম্বরের মধ্যে আগ্রহীদের আবেদন করতে আহ্বান জানাই।’

বর্তমান একাদশ সংসদের মেয়াদ প্রায় শেষ। এখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা থাকায় নির্বাচন হতে হবে এ বছরের নভেম্বর থেকে আগামী বছরের জানুয়ারির মধ্যে। এখনো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও কমিশন বলছে, আগামী নভেম্বরে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হতে পারে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীদের আনতে আওয়ামী লীগের ওপর চাপ আছে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমঝোতায় সংলাপ বা আলোচনার বিকল্প কোন পথ দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু নির্বাচন এগিয়ে এলেও এখনো নিজেদের অবস্থানে অনড় বড় দুই রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি ও আওয়ামী লীগ।বিএনপি বলে আসছে, এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশ নেবে না। এর অংশ হিসেবে গত কয়েক বছরে সিটি করপোরেশনসহ স্থানীয় যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলোতে কোনো প্রার্থী দেয়নি বিএনপি ও তাদের জোট সঙ্গীরা। দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা প্রার্থী হয়েছিলেন তাদের অনেককেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে রাজপথে নানা কর্মসুচি পালন করছেন দলটির নেতা–কর্মীরা।আওয়ামী লীগও বলে আসছে, উচ্চ আদালতের রায়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হওয়ায় এটি আর ফিরিয়ে আনার সুযোগ নেই। আগামী নির্বাচন হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদে রেখে, নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আসা নিয়েও কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জানিয়েছিল, বাজেট সংকটের কারণে তারা নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে না। পরে অবশ্য তারা ইসিকে জানিয়েছে, নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দুই মাসের জন্য তাদের ৪ থেকে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসবে। এই দলটি ভোটের আগে, ভোটের দিন এবং ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে।
নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে এখনও কিছু জানায়নি আমেরিকা। তবে সম্প্রতি দেশটির একটি প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল ঢাকা সফর করে গেছে। তাদের এ সফরে তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমের সম্পাদকসহ বহুজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন