৩৯৩ আহম্মদীয়া ভবন (৩য় তলা) আন্দরকিল্লা, চট্টগ্রাম।
মোবাইল নং : 01824-321233, 01710841959
ইমেইল : [email protected]
ওয়েবসাইট : rudrasangbad.com
সম্পাদক : পলাশ কান্তি নাথ,
বার্তা সম্পাদক : বিপ্লব কান্তি নাথ,
নির্বাহী সম্পাদক : রাজীব চক্রবর্তী,
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : শিমুল কুমার নাথ
মোড়কে বাংলায় লিখতে হবে উপাদান ও পুষ্টির তথ্য : (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম
নিউজ ডেস্কঃ
খাবারের পণ্যের মোড়কে বা লেবেলিংয়ে খাদ্য তৈরির উপাদান ও পুষ্টির তথ্য বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় স্পষ্ট অক্ষরে লেখা থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ) চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকার।তিনি বলেন, পণ্যের বিজ্ঞাপনের নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। টেলিভিশন, পত্রিকা বা অন্যান্য মাধ্যমে অতিরঞ্জিত কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না।বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বিএফএসএ’র প্রধান কাজ জানিয়ে মো. আব্দুল কাইউম বলেন, ‘জেল-জরিমানার মাধ্যমে ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। আমাদের উদ্দেশ্য ব্যবসায়ের সম্প্রসারণ, তবে সেটি আইনসম্মতভাবে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতের মাধ্যমে। খাদ্যের কোয়ালিটি নিয়ে কখনো আপস করা হবে না।’তিনি বলেন, ‘খাদ্য অবশ্যই নিরাপদ হতে হবে, যেটা নিরাপদ না সেটিকে কখনোই খাদ্য বলা যাবে না। আপনি যখন কোনো পণ্য বিক্রি করবেন সেটা সম্পূর্ণ নিরাপদ নিশ্চিত হয়েই বিক্রি করতে হবে এবং লেবেলিংয়ের মাধ্যমে খাদ্যের উপাদান এবং পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সবকিছু জানাতে হবে। কারণ, ভোক্তার অধিকার আছে সে কী খাচ্ছে এবং তাতে কী পুষ্টিগুণ আছে সেগুলো জানার। ভোক্তা যদি তার খাবারে লেবেলিংয়ের সঠিক পুষ্টিগুণ না পায় তাহলে কিন্তু ভোক্তা আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারে।’নিউট্রিশন সম্পর্কে লেবেলিংয়ে বাংলা এবং ইংরেজি দুই ভাষায় স্পষ্ট অক্ষরে খাদ্যের উপাদান লেখা থাকতে হবে জানিয়ে বিএফএসএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘পণ্যের লেবেলিং এ সকল তথ্য দিতে হবে। বিভিন্ন খাবারে এলার্জি থাকে, তাই খাবারে এলার্জি আছে কিনা তা হাইলাইট করে লিখতে হবে। কোন খাবারে নিউট্রিশন, ফ্যাট, লবণ, চিনি কী পরিমাণে আছে— তা বড় করে লিখতে হবে যেন সহজেই দেখা যায়। যদি ইংরেজিতে কেউ লেবেলিং করে তাকে বাংলায়ও লিখতে হবে।’লেবেলিং এবং বিজ্ঞাপন প্রবিধানমালার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘টেলিভিশন, পত্রিকা বা অন্যান্য মাধ্যমে অতিরঞ্জিত কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে না। বিজ্ঞাপনের নীতিমালা তৈরি হচ্ছে। অতিরঞ্জিত যে সকল বিজ্ঞাপন আছে সেগুলোও সরাতে হবে।’
বিএফএসএ’র সদস্য আবু নূর মোহাম্মদ শামসুজ্জামান অনিরাপদ খাদ্য সরবরাহে নৈতিকতার অভাবকে দায়ী করে বলেন,‘নিরাপদ খাদ্য সরবরাহে আমাদের কী শুধু জ্ঞানের বা প্রশিক্ষণের অভাব? আসলে কিন্তু তা না। আমরা অনেকে জেনে-শুনে বাণিজ্য বা বেশি অর্থ লাভের আশায় অনিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করে থাকি। আসলে আমাদের নৈতিকতার অভাব। এই নৈতিকতার জায়গাগুলো আমরা যদি নিজেরা নিজেদের কাছে কমিটমেন্ট করতে না পারি তাহলে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ সম্ভব না।’’
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য মো. রেজাউল করিম। সভাপতিত্ব করেন বিএফএসএ’র সদস্য মঞ্জুর মোর্শেদ আহমেদ। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন খাদ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন এনজিওর প্রতিনিধিরা।
আরও পড়ুন
পরলোকে দূর্গা রানী দেবনাথ
শান্তি কমিটি,রাজাকার, আল-বদর ও আল-শামসের জম্ম কথা
দেড় মাস সংসার করার পর প্রকাশ—নববধূ সামিয়া আসলে একজন পুরুষ!
মাগুরা জেলা যুবদলের ফিরোজের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট নেতাদের দলে নিয়ে বিএনপি নেতার বাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মহানবী (সা.)-কে কটূক্তির অভিযোগে যুবক আটক
গোদাগাড়ীতে প্লট ব্যবসায়ীর বাড়িতে মধ্যরাতের অভিযান: মাদক না পেয়ে ক্ষমা চাইল ডিএনস