
রতন রায় :
কুড়িগ্রামে জেলায় ধরলা, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী তীরবর্তী ছয়টি উপজেলা -চিলমারী, উলিপুর, রৌমারী, চর- রাজিবপুর, ভুঙ্গামারি,এবং রাজারহাট – লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যার ফলে ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ করা হয়েছে। ৪ হাজার হেক্টর ফসলি জমি নিমজ্জিত হয়েছে।উজানের পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃহস্পতিবার বিকালে হাতিয়া পয়েন্টে ৭৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও ধরলা নদীর পানি ৪ সেন্টমিটার কমে গিয়ে বিকালে ২ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে।হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধির ফলে বিপাকে পড়েছে বানভাসী মানুষ। তারা ছুটছে আশ্রয়ের খোঁজে। বেশিরভাগ বানভাসী মানুষ নৌকার মধ্যে রাত্রিযাপন করছেন। প্রশাসন থেকে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেও এখনো সবার কাছে পৌঁছেনি সরকারি সহায়তা।বানভাসীদের সহায়তায় ইউনিয়ন পর্যায়ে ১০০ টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন থেকে ৫০০ মেট্রিক টন চাল ও ২০ লাখ টাকা বিতরণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
