২৩শে জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মহাসড়কে কন্টিয়ার ডিপোর গ্লাস ভেঙে ড্রাইভারদের জিম্মি করে ডাকাতি

শুভদেব দাশঃ

চট্টগ্রাম জেলায় উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে ডাকাতির ঘটনা। জেলার বিভিন্ন উপজেলা এবং অর্থনীতির ‘লাইফ লাইন’ খ্যাত ঢাকা পোর্ট কানেকটিন-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন মূল অপরাধীরা। এমনকি পুলিশ পরিচয়ে তল্লাশির নামেও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে একাধিকবার। বার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ও তদন্তের ব্যর্থতাকে দায়ী করছেন ভুক্তভোগীরা।২৮ মার্চ ২৪ রোজ বৃহস্পতিবার ভোর রাতেই ৫টা ২০মিনিটে  ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট বাইপাস পোর্ট কানেক্টিং টোল রোডের ডিসি পার্ক টার্নিং পয়েন্ট  এলাকায় বন্দরের সি এন এপের পোশাকে  সি এন এপ পরিচয়ে নেমসান ডিপোর গাড়ি  গাড়িতে হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন নেমসান ডিপোর ড্রাইভার মো রাসেল । এইতো আগের সপ্তাহে ১৭মার্চে ও গঠেছে ডাকাতির গঠনা পোর্টল লিংক কন্টিয়ার বাইরের মালিকানা পিএল ১০২ নামের গাড়ি আটকিয়ে কন্টিনিয়ার ডিপোর সিল খুলতে না পেরে ড্রাইভাকে মেড়ে মোবাইল ও টাকাপয়সা লুট করে  বলে যানিয়েছেন রুদ্র সংবাদ কর্মী শুভদেব দাশকে। প্রাইম মুভার ট্রেইলার ড্রাইবার রুদ্র সংবাদকে জানানচট্টগ্রাম বন্দরের প্রদান যোগাযোগ রাস্তা বাইপাস লিঙ্ক রোড রাত তিনটার সময় পোট লিং লজিস্টিকের স্টিকার যুক্ত গাড়ি ডাকাতি হয় মন্দিরের কাছে সেই সাথে গারি ভাঙচুর ও নগদ টাকা মোবাইল ছিনিয়ে নাই দুর্বৃত্তরা সাথে চালক কে মারধর করে তার সাথে আরো প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ টা গাড়ি ডাকাতি হয় বলে জানান রাত হলে যেন হয়ে ওঠে ডাকাত দলের  আস্তানা বন্দর বাইপাস লিং রোড ২৫ কিলো রাস্তাটিতে রয়েছে চারটি থানা ও রয়েছে বেশ কিছু গ্যারেজ তারমাঝেও চলছে ডাকাতিদের ডাকাতির কাজ।। চট্টগ্রাম বন্দর সিপিআর গেইট থেকে ফৌজদার হাট বা ঢাকার  যাওয়ার পথে গাড়ি গ্লাস ভেঙে তাকে জিম্মি করে তাদের জিনিস লুট করে দেশীয় অস্ত্র বহন করা সাত থেকে আট জনের দল।থানা ও জেলা পুলিশের সূত্র মতে, গত একমাসে চট্টগ্রামে আটটিরও বেশি ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হয়েছে। এরমধ্যে বোয়ালখালী, সাতকানিয়া এবং সীতাকুণ্ডে ঘটনা বেশি।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ডাকাতি বা দস্যুতার ঘটনা সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা থানার জন্য ডিস-ক্রেডিটের বিষয়। ডাকাতির মামলা নেওয়া মানে ওই থানার সার্বিক আইনশৃঙ্খলার অবস্থা শোচনীয়। তাই থানার ‘র‍্যাংক’ ধরে রাখতে ডাকাতির মামলা ফিরিয়ে দেওয়া হয় বা চেপে রাখা হয়। এটা শুধু থানায় করা হয় বিষয়টি এমন নয়, অনেক সময় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এগুলো চেপে যান।আবার আসামির খোঁজ পেলেও অভিযানে যাওয়ার আগে তথ্য-ফাঁসের ঘটনা আছে, যার কারণে সার্বিকভাবেই আসামি ধরা দুষ্কর হয়ে পড়ে, বলেন একাধিক কর্মকর্তা।সীতাকুণ্ড সার্কেলে কাজ করে আসা এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, অনেক সময় মহাসড়কে ডাকাতির শিকার হলেও পুলিশি ঝামেলার কারণে অনেকে বলতে চান না, তাই অনেক ঘটনা আড়ালে থেকে যাচ্ছে।মহাসড়কে ডাকাতির শিকার ড্রাইভার হাসেম ড্রাইভার রাসেল ড্রাইভার ইমন রুদ্র সংবাদকে  বলেন, ‘আমি বন্দর  থেকে ফোজদার হাট  যাচ্ছিলাম। আমাদের সামনে-পেছনে পণ্যবাহী আরও ট্রাক ছিল। রাত ১২টার দিকে রাস্তায় যানজটে পড়লে পাশের ঝোপ থেকে বের হয়ে আসে দেশীয় অস্ত্র বহনকারী ডাকাত দল।”তারা গাড়ির সব গ্লাস ভেঙে ফেলে আমাদের কাছ থেকে মোবাইল ও আমাদের টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়। তারা বার বার আমাদের গাড়ির দরজা খোলার জন্য বলছিল। আমরা তা করিনি। একপর্যায়ে আমরা দ্রুত গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যায় আমরা । ঘটনার সময় অনেকে দেখলেও কেউ ভয়ে গাড়ি থেকে নামেননি’, বলেন তিনি।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন