৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কালিগঞ্জের তারালী আনী বারোআনী খাল ভরাট করে মৎস ঘের করার অভিযোগ

তাপস কুমার ঘোষ সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের তারালী ও বাতুয়াডাঙ্গা গ্রামের আনী বারোআনী খাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল ১০ টার সময় সরজমিনের গিয়ে জানা যায়, তারালী গ্ৰামের মৃত আবেদ আলী সরদারের পুত্র কাওছার সরদার (হৈদির) দীর্ঘদিন যাবত খালের ভেড়িবাদ বিনষ্ট করে অবৈধভাবে দখল করে মৎস ঘের করে আসছে।
মৎস ঘেরের নিজস্ব কোন ভেড়িবাদ না থাকায় দুই পাশের রাস্তা ঘেরের জলে প্লাবিত হয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ফলে জনসাধারণের চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাহার ঘের হতে মাটি কেটে পার্শ্ববর্তী সরকারি খালের ভিতরে ফেলে খাল ভরাট করেছেন যেটি বর্ষা মৌসুমে এলাকার ১০০টি পরিবারের জল নিষ্কাশনে বাধাগ্রস্থ হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনসাধারণ ও এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, লিয়াকাত সরদারের বাড়ির সামনে হতে আনী বারোআনী খাল থেকে ঘোষের আবাদের খাল পর্যন্ত প্রাচীন আমল থেকে দীর্ঘদিনের খালটি এখন ব্যক্তি মালিকানাদের দখলে আছে।এ বিষয়ে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা পরিষদ বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন, মোতাসিম বিল্লাহ,আবু সাঈদ, শিমুল হাসান,রেহানা আক্তার, আজমীর হোসেন, আব্দুস সালাম, রায়হান, রফিকুল ইসলাম,আসাদুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, আবির হোসেন,রুপা পারভীন,সুজাউল্লাহ সরদার,শহিদুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন,জাহিদ হোসেন, শহীদ, আব্দুস সেলিম,রুহুল আমিন,কিসলু,বাবলু, রফিকুল ইসলাম,আকবর আলী ও বাবু সহ আরো অনেকে।

এসময়ে সরজমিনে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের জানান,তারালী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ফয়সাল বিশ্বাস,বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ইউনিয়ন সভাপতি জাহিদ হাসান,আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুল ইসলাম সোনা ও কবি শামসুর রহমান বলেন, বিষয়টি সত্য সরকারি ইটের সোলিং রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ও দীর্ঘদিনের জল নিষ্কাশনের খালটি কেটে পুনরায় উজ্জীবিত করে শতাধিক পরিবারের জল নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করিতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে,কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী সাংবাদিকদের জানান লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ইউপি চেয়ারম্যানকে নিয়ে দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন