৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম লোহাগাড়ায় একটি টিউবওয়েল বসানো কে কেন্দ্র করে,ঘুম হারাম প্রশাসনের

আনোয়ার হোসেনঃ

ঘটনার সূত্রপাত গত ২৭ ১০ ২০২৩ ইং সামান্য একটি টিউবওয়েল বসানো কে কেন্দ্র করে ঘুম হারাম হয়ে গেছে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে গোটা প্রশাসনের।ঐদিন একই গ্রামের মৃত অনিল কান্তি দেবনাথের ছেলে প্রিয়তোষ কান্তি দেবনাথ খতিয়ানভুক্ত নিজ জায়গায় টিউবওয়েল খনন করতে চাইলে বাধা দেয় ননী কান্তি দেবনাথ ও তার পরিবার।তখন প্রিয়তোষ দেবনাথ তার কারণ জানতে চাইলে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দেয় এবং বেশি কথা বললে মিথ্যা মামলা দেওয়ার ভয় দেখায়। তার কিছুক্ষণ পরেই ঘটনাস্থলে হাজির হয় লোহাগাড়া থানার পুলিশ কোন অভিযোগ ছাড়াই বন্ধ করে দেয় টিউবয়েল খননের কাজ।কোন উপায় না পেয়ে ভুক্তভোগী প্রিয়তোষ দেবনাথ লোহাগাড়া থানার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি আবেদন করেন টিউবওয়েল বসানোর জন্য এতে প্রাথমিকভাবে মৌখিক একটি অনুমোদন পেলেও পরক্ষণে আবার নিষেধ করে দেওয়া হয়।শুধু তাই নয় লোহাগাড়া ভূমি অফিস, এল জিআইডি অফিসে ও টিউবওয়েল বসানোর আবেদন করা হয় কিন্তু কোন আশার মুখ দেখতে পাইনি প্রিয়তোষ । এত জনের দ্বারস্থ হওয়ার পরও টিউবওয়েল বসানো তো দূরের কথা উল্টো প্রিয়তোষ দেবনাথের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয় -ননী কান্তি দেবনাথ।ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে সংবাদ কর্মীরা ঘটনাস্থলে সরজমিনে দেখতে পায যে অভিযোগে মহামান্য আদালতে মামলা করা হয়েছে তার সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। ভুক্তভোগী প্রিয়তোষ রাস্তার পাশে তার খতিয়ানভুক্ত জায়গায় টিউবওয়েল বসাচ্ছেন। সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক রাস্তার সোল্ডারে কোন ধরনের গভীর খনন ও স্থাপনা করা যাবে না। দেখা যায় যেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে মামলা হয়েছে ওই জায়গায় আরেকটি স্থাপনা রয়েছে যেটার অবস্থান যেখানে টিউবওয়েল বসানো হচ্ছে ওই স্থান হতে আরো ৪-৫ ফিট রাস্তার উপর যাহা সম্পন্ন অবৈধ। ওই পাখা দালানটির ব্যাপারে জানতে চাইলে স্থানীয় লোকজন বলে এটা জজ সাহেবের বাড়ি, আর মামলার বাদী ননী কান্তি দেবনাথ হলেন জজ সাহেবের আপন বড় ভাই।বিষয়টি একটু রহস্যে মনে হওয়ায় ” অগ্রযাত্রার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম” হাজির হয় লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ এনামুল হাসানের অফিস তিনি সম্পূর্ণ বিষয়টি জানার পর বলেন এই সামান্য বিষয়টি আমার ঘুম হারাম করে দিয়েছে এটার জন্য এত বেশি ফোন আসছে আমি রীতিমত বিরক্তিবোধ করছি।ফোনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন উনি আমার সিনিয়র। বুঝতে আর বাকি রইল না ফোনের ব্যক্তিটি আসলে কে।এলাকার সাধারণ জনগণ কোনভাবেই কোন বিষয় নিয়ে মুখ খুলতে চায় না, কোন কিছু জিজ্ঞেস করলেই তারা এড়িয়ে চলে,কেমন যেন মনে হয় তাদের ভিতর সব সময় একটা ভয় কাজ করে,

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন