৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কালিগঞ্জ কৃষ্ণনগরে বিজ্ঞ আদালতের রায় অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধিঃ

কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করে আব্দুল বারী গাজী বাহিনীর সদস্যরা জমি দখলের পাঁয়তারা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে।উক্ত ঘটনায় ভুক্তভোগী জমির মালিক কৃষ্ণনগর গ্রামের মনসুর আলী গাজীর পুত্র আবু মোছা বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে কালিগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের সূত্র ও ভুক্তভোগী জমির মালিক আবু মোছা সাংবাদিকদের জানায় একই গ্রামের দবীর উদ্দিন গাজীর পুত্র আব্দুল বারী গাজী,ফজর আলী গাজী, আব্দুল আজিজ গাজী,আব্দুস সাত্তার গাজী,খোকন ইসলাম এর পুত্র মনিরুল ইসলাম,আব্দুল মাজেদ (ঘুঘু) পুত্র সাইফুল গাজী গংয়ের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত পারিবারিক জমি নিয়ে মনোমালিন্য ও বিরোধ চলে আসছিল।আবু মোছা বলেন আমরা গত ৮জানুয়ারী ২০২৪ তারিখে মহামান্য দেওয়ানী আদালত হইতে ডিগ্রী প্রাপ্ত হইয়া শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগ দখল করে আসছি। বাদীর পিতা মুনছুর আলী দেওয়ানী মামলা ১২০/১৪ আদালত হইতে প্রথম ডিগ্রী প্রাপ্ত হয়। বিবাদীপক্ষ দেওয়ানী আফিল মকর্দমা নং-০৩/২০২০ দায়ের করিলে বাদীর পিতা মুনছুর আলী আপিল ও ডিগ্রী প্রাপ্ত হয়।

উল্লিখিত বিবাদীগন মহামান্য কোর্টের ডিগ্রী উপেক্ষা করিয়া নিম্ন তপশীল বর্ণিত সম্পত্তি দখলে অনধিকার প্রবেশ করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই- ধারাবাহিকতায় গত ইং-১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যা আনুমানিক ৭টার সময় বিবাদীগন বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া দেশী অস্ত্র-সন্ত্র নিয়া অনধিকার ভাবে আমার ভোগদখলীয় সম্পত্তিতে প্রবেশ করার চেষ্টা করে এবং অবৈধ বৈদ্যতিক লাইন দিয়ে পানির মোটর ব্যাবহার করে আমার ভোগ দখলীয় সম্পত্তিতে থাকা পুকুর হতে বিভিন্ন প্রজাতির সাদা মাছ ধরার জন্য পানি উত্তোলন করিতে থাকে।আমরা পানি উত্তোলন কাজে বাধা প্রদান করিলে বিবাদীগন আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মারতে উদ্যত হয়। আমরা তাৎক্ষনিক ৯৯৯ প্রশাসনের জরুরী নাম্বারে ফোন দিলে কালিগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় এবং মাছ ধরা বিভিন্ন জিনিসপত্র নিয়ে স্থানীয় কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদে জব্দ করে রেখে দেয়। বিবাদীগন প্রকাশ্যে হুমকি দিয়া বলেন জমি নিয়ে বেশী দৌড়ঝাঁপ করলে খুন জখম সহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি-ধমকি দিতে থাকে।তফশীল সম্পত্তিঃ সাতক্ষীরা জেলা কালিগঞ্জ থানার কৃষ্ণনগর মৌজায় সাকিনের সাবেক ৪১৮ নং খতিয়ানে লিখিত ৩৬০ দাগে লিখিত ০.৩০ একর ৩৬২ দাগে লিখিত ০.৫৯ একর ৫৫৭ দাগে লিখিত ০.৩৬ একর ৫৫৮ দাগে লিখিত ০.৪৭ একর ৩৬৫ দাগে লিখিত ৩১.০২ এক একুনে ২.৭৪ একর ঐ থানাধীন ঐ মোজায় এস, এ ৫৪৯ নং খতিয়ানে লিখিত ৩৬০ দাগে লিখিত ০.৩০ একর ৩৬২ দাগে লিখিত ০.৫৯ একর ৫৫৭ দাগে লিখিত ০.৩৬ একর ৫৫৮ দাগে লিখিত ০.৪৭ একর ৩৬৫ দাগে লিখিত ১.০২ একর একুনে ২.৭৪ একর পরস্পর এক ও অভি হইতেছে এবং উত্তর ২.৭৪ একর ভূমি আরজীর “ক” তপশীল বর্ণিত ভূমি। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো সময় আইন- শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।এ বিষয়ে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাফিয়া পারভীন এর কাছে ঘটনার সত্যতা মুঠোফোনে জানার চেষ্টা করলে ফোন নম্বর বন্ধ থাকায় জানা সম্ভব হয়নি।কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শাহীন বলেন অভিযোগ কপি হাতে পেলে তদন্ত করে দোষীদের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন