
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চট্টগ্রাম মহানগর চান্দগাঁও থানাধীন কাপ্তাই রাস্তার মাথা মোহরা পুলিশ ফাঁড়ির প্রায় ৪০/৫০ গজ উত্তরে রেলের সিগন্যাল গেইটের পূর্ব পাশ্বে অব্যাহারিত রেল লাইনের উপর ভ্যানগাড়ীতে কিছু ইলেকট্রনিক পন্য ও ক্রোকারিজ মালামাল সাজিয়ে প্রকাশ্যে চালাচ্ছে ভ্রাম্যমাণ এই জুয়ার আসর।সকাল ৭ থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত আবার বিকাল ৩ ঘটিকা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত চলে এই রিকসা ভ্যানের লটারি। পুলিশ প্রশাসন দেখেও যেন না দেখার বান করে বসে আছে। নাম মাত্র (২০) টাকার লটারি, সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায় কোন ব্যক্তিকে যদি একবার ২০ টাকার বিনিময়ে লটারি হাতে ধরিয়ে দিতে পারে তো তাদের লোভনীয় কথার ভঙ্গিমায় ফেলে ঐ ব্যাক্তিটার নিকট থাকা টাকা, মোবাইল,স্বর্ণালংকার আংটি,চেইন যা আছে সব দিয়ে সর্বশান্ত হয়ে ফিরে আসে,সে বুঝতেই পারে না কি থেকে কি হলো, তেমনি গতকাল এক ভোক্ত ভোগী রেললাইন সংলগ্ন শৌচাগারের এক পাশে দাঁড়িয়ে কান্না করছে তার কাছে জানতে চাইলে সে বলে ভাই আমি রেললাইন দিয়ে বাজার করতে যাচ্ছিলাম ঐ রিকশা ভ্যানগাড়ির লটারি টা কাছে দাঁড়ালাম আমার পাশে দাঁড়ানো একব্যক্তি লটারি কিনেছে এবং সে একটি সাবান পুরষ্কার পায় পরে সে সাবানের মাধ্যমে দুটো লটারি পায় একটা সে নেয় এবং একটা আমাকে জোর করে হাতে ধরিয়ে দেয় বলল টাকা লাগবে না ফ্রি এর পর তাদের লোভনীয় কথায় পরে আমার কাছে থাকা ১২,৭০০ টাকা এবং আমার হাতের মোবাইল টা রেখে দিয়েছে,কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পরে আর বলতে থাকে আমি বাসায় গিয়ে কি জবাব দিব।এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে এই রেললাইনের উপর। আমার পরিচয় গোপন রেখে জুয়ার মালিক শাহিনকে বলি যে দেখেন ঐলোকটার টাকা যা নিয়েছেন ওখান থেকে তাকে কিছু টাকা দিয়ে দেন আর ওর মোবাইলটা দিয়ে দেন।জবাবে শাহিন বলে ঐ বেটা লটারি খেলছে আর খেলতে গিয়ে সে মোবাইল রেখে গেছে টাকা দেওয়া যাবে না তবে মোবাইল দিতে পারি যদি সে নগদে ১০,০০০ টাকা দেয়।আমি শাহিন কে বললাম উনি যদি এখন থানায় যায় তাহলে কি করবেন,জবাবে শাহিন বলে কোন লাভ হবে না, ভাই আপনাকে আমি জানি না শুনেন এই লটারি তো এমনি এমনিতেই চলে না, থানা+পুলিশ ফাঁড়ি +ডিবি সহ এলাকার লোকাল খরচ দিয়ে চালায়তে হয়।পরে আমি লোকটি বললাম আপনি আমার সাথে থানায় চলেন সে যেতে রাজি হলো না কারণ তার বাড়ি ভোলায় ,আর এখানকার স্থানীয় লোকজন এই লটারির সাথে জড়িত।
