৭ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

এআইআইবি’র বোর্ড অব ডাইরেক্টরস ৮ম বার্ষিক সভায় শরিফা খান

নিউজ ডেক্সঃ

অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের সচিব শরিফা খান বলেছেন,পাবলিক ও প্রাইভেট বিনিয়োগের মধ্যে সেতু বন্ধন গড়ে তুলতে হবে। টেকসই উন্নয়নের জন্য জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণে বেশি অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মিশরের শারম আল শেখে দুই দিনের এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) বোর্ড অব ডাইরেক্টরস এবং ৮ম বার্ষিক সভায় এ কথা বলেন শরিফা খান।এবারের বার্ষিক সভা ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাংলাদেশের পক্ষে অর্থনৈতিক সর্ম্পক বিভাগের সচিব শরিফা খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করে।
শরিফা খান বলেন, এবারের বার্ষিক সভার মূল প্রতিপাদ্য সাসটেইনেবল গ্রোথ ইন এ চ্যালেঞ্জিং ওয়ার্ল্ড অত্যন্ত সময়োপযোগী ও তাৎপর্যপূর্ণ৷ বিশ্ব সম্প্রদায়, উন্নত থেকে উন্নয়নশীল সকল দেশই এই মুহূর্তে বিশাল চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। যার বেশিরভাগই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব, বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়ার জন্য সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রযেছে। এজন্য বিশ্বের প্রধান অর্থনীতির দেশগুলো জলবায়ু পরিবর্তন এবং আসন্ন সংকট এড়াতে উন্নয়নশীল দেশগুলোর ন্যায্য অংশীদারিত্বের বিষয়ে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।
সভায় এআইআইবি সভাপতি এবং বোর্ডের চেয়ারম্যান জিন লিকুন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সদস্যদের নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এআইআইবি সদস্যদের পাশে থাকবে।
বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল বেশ কয়েকটি অফিশিয়াল সেশনে অংশগ্রহণ করে। পাশাপাশি এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (এআইআইবি) বিনিয়োগ অপারেশন অঞ্চল ১- দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. উর্জিত প্যাটেলের সঙ্গেও সভা হয় প্রতিনিধি দলের।বাংলাদেশে ২০১৬ সালে বিদ্যুৎ খাতে ১৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এআইআইবির বিনিয়োগ শুরু হয়েছিল। প্রথম তিন বছরে এআইআইবি অর্থায়ন ছিল চারটি প্রকল্পের বিপরীতে ৪৪৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ১৮টি প্রকল্পের বিপরীতে ৩২৭০ (তিন হাজার দুইশ সত্তর) মিলিযনে বেড়েছে। আগামী ৫ বছরের জন্য এআইআইবি অর্থায়নের বাংলাদেশের পাইপলাইনে ৪.৫ বিলিয়ন ডলার রয়েছে। যা বাংলাদেশে আগামী ৫ বছরে জলবায়ু সমস্যা মোকাবিলায় অর্থায়ন এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিনিয়োগের মধ্যে সেতু বন্ধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন