
চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) শাটল ট্রেনে দুর্ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন ভাংচুরের ঘটনায় ৩টি মামলা করা হয়েছে বলে জানান চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। তবে মামলার বিষয়ে এখনও রয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ কিংবা প্রক্টর- কেউই মামলার বিষয়টি এখনও নিশ্চিত করতে পারেননি। ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৫টায় চবি উপাচার্যের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মামলার বিষয়টি জানিয়েছিলেন উপাচার্য নিজেই। চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, গতকাল গার্ডের ওপর হত্যাচেষ্টা চালানো হয়েছে। সেখানে আমি থাকলে আমাকেও মেরে ফেলতে চাইত। ভাংচুরের বিষয়ে তিনটি মামলা করা হয়েছে। ভিসির বাসভবনে ভাংচুর, পরিবহন দফতরে ভাংচুর, গার্ড বা ভিসি হত্যাচেষ্টায় ‘এটেম্ট টু মার্ডার কেস’ এই তিনটি বিষয়ে মামলা করা হয়েছে। ফুটেজ দেখে এগুলো নিশ্চিত করা হবে। আর আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার বিষয়ে দায়িত্ব নিবে প্রশাসন। তাদের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে চট্টগ্রামের বটতলী স্টেশন থেকে ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে আসা রাত সাড়ে ৮টার শাটল ট্রেন চৌধুরীহাট এলাকায় এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। শিক্ষার্থীরা জানান, শাটলট্রেন চৌধুরীহাট পার হওয়ার সময় ছাদে থাকা শিক্ষার্থীরা হেলে পড়া গাছের ডালের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এসময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়। এছাড়া কয়েকজন চলন্তট্রেনের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, আহতের সংখ্যা প্রায় ২০ এর অধিক। এরমধ্যে তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাটল ট্রেন ক্যাম্পাসে পৌঁছালে শিক্ষার্থীরা এ ঘটনার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ বক্সের বেশকিছু চেয়ার ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে তারা উপাচার্যের বাংলো, শিক্ষক ক্লাব এবং পরিবহন দফতরে থাকা অন্তত ৬৫টি গাড়ি ভাংচুর চালায়। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্দিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এদিকে মামলার বিষয়ে জানতে প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে এখন নিউজ করতে নিষেধ করেন।হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেখছেন। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রুদ্র সংবাদকে বলেন, মামলা হলে ওসি বিষয়টি বলতে পারার কথা। আমি খোঁজ নিয়ে জানাচ্ছি। কিন্তু পরবর্তীতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি তিনি।
