
রুদ্র ডেক্সঃ
বাংলাদেশে প্রবর্তিত একমাত্র ত্বরিকা, বিশ্বসমাদৃত ‘ত্বরিকা-ই-মাইজভাণ্ডারীয়া’র প্রবর্তক গাউসুল হযরত মাওলানা শাহ্ সুফি সৈয়দ আহমদ উল্লাহ্ মাইজভাণ্ডারী (কঃ)-এর ১১৮তম ১০ মাঘ উরস শরিফ উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১০ম ‘শিক্ষক সমাবেশ’ করেছে শাহানশাহ্ হযরত সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট।আজ সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ‘বঙ্গবন্ধু হল’এ অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমাবেশের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল ‘জ্ঞান, নৈতিক মূল্যবোধ ও প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট প্রজন্ম গড়তে শিক্ষক ও রাষ্ট্র-সমাজের ভূমিকা’। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সীতাকুন্ড লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শিমুল বড়ুয়া। সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম মহানগর এলাকা, ফটিকছড়ি, রাউজান, হাটহাজারী, সীতাকুন্ড, মিরসরাই, বোয়ালখালী, পটিয়া, চন্দনাইশ, কর্ণফুলি, আনোয়ারা ও বাঁশখালী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া উপজেলাধীন সরকারি-বেসরকারি কলেজসমূহের ৩ শতাধিক সম্মানিত অধ্যক্ষ, অধ্যাপক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।রাঙ্গুনিয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাপক অসীম কুমার শীল ও বাঁশখালী আলাওল কলেজের প্রভাষক ফজিলাতুন্নেছা ডলি’র সঞ্চালনায় এবং চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় ইন্স্টিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জসীমউদ্দিনের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন বিজিসি ট্রাস্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ-এর মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. আ.ফ.ম আওরঙ্গজেব। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এ এম এম মুজিবুর রহমান ও চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ মোজাহিদুল ইসলাম।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শিক্ষকদের যথাযথ মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হলে সমাজগঠনে শিক্ষকরা যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারবে না। শিক্ষা কারিকুলামে নীতিনির্ধারনী বৈঠকে শিক্ষকদের সংযুক্ত রাখা প্রয়োজন।অতিথিরা বলেনÑ দূর্নীতি থেকে মুক্ত হতে হলে নৈতিকতা চর্চা করতে হবে। মাইজভাণ্ডার দরবার মানুষের মাঝে নৈতিকতা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখে। মাইজভাণ্ডার দরবার দুনিয়া এবং আধ্যাত্মিকতার মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করে জীবন পরিচালনার শিক্ষা প্রদান করে। শ্রেণিবৈষম্য দূরীভূত করে শিক্ষকদের মাঝে একাত্মতা তৈরিতে এই সমাবেশ ভূমিকা রাখবে। দীপশিখার মতো সমাজকে আলোকিত করাই শিক্ষকদের দায়িত্ব।প্রবন্ধের উপর বক্তব্য রাখেন- পটিয়া খলিলুর রহমান মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, কর্ণফুলি আবদুল জলিল চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পটিয়া খলিল-মীর কলেজের অধ্যক্ষ এস এম মিজবাহ্-উর রহমান, রাঙ্গুনিয়া মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ছরোয়ার ছালেক সিকদার, রাউজান আশালতা কলেজের অধ্যক্ষ জনার্দ্দন কুমার বনিক এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কর্ণফুলি এ জে চৌধুরী কলেজের অধ্যাপক অভিভাবক প্রতিনিধি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের বিবিএ অনার্স (শেষ বর্ষ)’র শিক্ষার্থী ফারজানা ইয়াসমিন।ট্রাস্টের মাননীয় ম্যানেজিং ট্রাস্টি’র ‘আশীষ বাণী’ পাঠ করেন ট্রাস্টের মুখ্য সমন্বয়ক অধ্যাপক জহুর উল আলম এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ট্রাস্ট সচিব অধ্যাপক এ ওয়াই এমডি জাফর। ঘোষণাপত্র পাঠ করেন আইনজীবী ও ঞডঈ ইউ’র প্রধান সমন্বয়ক রেবা বড়ুয়া।অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক সমাবেশ উদযাপন পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক আবু আহমদ, তাজুল ইসলাম চৌধুরী, বটন কুমার দে, ট্রাস্টের প্রশাসনিক ও সমন্বয় কর্মকর্তা তানভীর হোসাইন, মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন প্রমুখ।
