৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রাম আদালতে বিচারক সংকটে মামলার জট,

মাসুদ পারভেজঃ

চট্টগ্রামে ৮৬টি আদালতে প্রায় দুই লাখ মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে ২২টি দেওয়ানি আদালতে চলছে ৪৯ হাজার মামলার কার্যক্রম।বিচারক সংকটের কারণে সৃষ্টি হয়েছে মামলার জট। এ অবস্থায় মামলা নিষ্পত্তিতে আরও ৭-৮ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া দরকার বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।আদালত সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) এর অধীনে ৮টি আদালতে মহানগরের ১৬ থানার সাড়ে ৫৪ হাজার মামলার বিচারকাজ পরিচালনা করছেন ৮ জন বিচারক। চট্টগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) এর অধীনে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১৩টি।এর মধ্যে পটিয়ার চৌকি ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহ ৫ আদালতও রয়েছে। এসব আদালতে প্রায় ১৫ হাজার ফৌজদারি মামলা বিচারাধীন।এছাড়া চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ও এর অধীন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ৩০ হাজার মামলা এবং চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ও তার অধীন অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ২৯ হাজার মামলা বিচারাধীন।নগর ও জেলার ২২টি দেওয়ানি আদালতে ৪৯ হাজার মামলা বিচারাধীন। প্রতি মাসে ৪০০ থেকে ৪৫০টি নতুন মামলা দায়ের হচ্ছে, নিষ্পত্তি হচ্ছে ২০০টি। চট্টগ্রাম ১ম সহকারী জজ আদালত, ২য় সহকারী জজ আদালত, ৩য় সহকারী জজ আদালত, ৫ম সহকারী জজ আদালত, ১ম যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ২য় যুগ্ম জেলা জজ আদালত, ৩য় যুগ্ম জেলা জজ আদালত ও জেলা জজ আদালতে প্রতি মাসে ৮০ থেকে ৯০টি করে মামলা নিষ্পত্তি হলেও দায়ের হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০টি মামলা। দেওয়ানি মামলা নিষ্পত্তিতে পুলিশ প্রতিবেদন দাখিলে দেরি হওয়ায় বাড়ছে জট।চট্টগ্রাম সিএমএম আদালতের নাজির আবুল কালাম আজাদ জানান, সিএমএম আদালতে মহানগরের ১৬ থানার সাড়ে ৫৪ হাজার মামলার বিচারের ভার মাত্র ৮ জন বিচারকের ওপর। মামলার জট কমাতে আরও বিচারকের পদ বাড়ানো প্রয়োজন।চট্টগ্রাম সাইবার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামে মামলা বাড়ছে, বিচারিক আদালত বাড়ছে না। আদালতে আছে বিচারক সংকট। পাশাপাশি কোনো আদালতের বিচারক বদলি কিংবা ছুটিতে গেলে মামলার কার্যক্রম স্থগিত থাকে। এতে মামলা জট বাড়ছে।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন