
মোঃ দলিল উদ্দিন গাজীপুর
গাজীপুরে জাল টাকার নোটসহ চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
গাজীপুরে জাল নোট তৈরি চক্রের সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের জাল টাকার নোট উদ্ধার করা হয়।বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন এসব তথ্য জানান।গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলেন কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার কাদিজঙ্গল এলাকার মো. সুরুজ মিয়ার ছেলে মো. মাজহারুল ইসলাম সবুজ (২৪), একই এলাকার মৃত আ. ছমেদের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান (৪০), আবুল কাশেমের ছেলে মো. শরীফ মিয়া (৩০), সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর থানার মাঝেরটেক এলাকার মো. রমজান আলীর ছেলে মো. খোরশেদ আলম নবী (৪২) ও গাজীপুরের শ্রীপুর থানার আবদার উত্তরপাড়ার মো. দুলাল মিয়ার ছেলে মো. এনামুল হক (২৪)।গাজীপুর মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মাদ নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, মঙ্গলবার গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, মহানগরীর বাসন থানাধীন নলজানী সাকিনস্থ সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের সামনে কয়েকজন জাল টাকার ব্যবসায়ী জাল টাকা কেনা-বেচা করছে। সেই খবরের ভিত্তিতে অভিযানিক দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েকজন সন্দেহভাজনকে আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় এনামুল হকের প্যান্টের পকেট থেকে ২৩ হাজার টাকার জাল নোট, মো. জিয়াউর রহমানের লুঙ্গির কোচর থেকে ১৩ হাজার টাকার জাল নোট, মো. শরীফ মিয়ার প্যান্টের পকেট থেকে ১৫ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, মো. মাজহারুল ইসলাম সবুজ ও মো. খোরশেদ আলম নবীর কাছ থেকে তারা সেই জাল টাকার নোট নেন। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বাসন থানাধীন দিঘীরচালা, মুচিপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মাজহারুল ইসলাম সবুজকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগে রক্ষিত ৪ লাভ ৮৯ হাজার টাকা মূল্যের জাল টাকার নোট, ১ লিটার কোকাকোলার প্লাস্টিকের বোতলে রক্ষিত জাল টাকা স্বচ্ছ করার রাসায়নিক তরল পদার্থ ও একটি মোবাইল ফোন এবং নগদ ৩১ হাজার টাকা জব্দ করা হয়। এ সময় মো. খোরশেদ আলম নবীকে তার হাতে থাকা শপিং ব্যাগে রক্ষিত ২ লাখ টাকা মূল্যের জাল টাকার নোটসহ গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, মো. মাজহারুল ইসলাম সবুজ ও খোরশেদ আলম নবী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে ঢাকার আশুলিয়া এলাকায় আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি জাল টাকা তৈরি করেন। আলাউদ্দিনের সহযোগী খোরশেদ আলম জাল টাকা ক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করেন। এই চক্রটি সারা বছরব্যাপী জাল টাকা তৈরি ও সরবরাহ করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের মূল হোতা আলাউদ্দিনসহ অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
