৮ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

কক্সবাজার বিমানবন্দরে চলবে দিবারাত্রি ফ্লাইট

নিউজ ডেক্সঃ

সমুদ্রের বুক ছুঁয়ে নামবে উড়োজাহাজ। এমন দৃশ্য যেমন উপভোগ্য ঠিক তেমনি রোমাঞ্চকর। দেশের ইতিহাসে এই চ্যালেঞ্জিং কাজের শেষ হচ্ছে আগামী অক্টোবরে। এরপর থেকেই কক্সবাজার বিমানবন্দরে চলবে দিবারাত্রি ফ্লাইট। তবে দেরি হবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল। দেশের দীর্ঘতম রানওয়েটি নির্মাণশৈলীর কারণে এরইমধ্যে এসেছে আলোচনায়।চারদিকে সমুদ্র মাঝখানে রানওয়ে, আকাশ থেকে নামার সময় মনে হতে পারে সাগরেই নামছে উড়োজাহাজ।
দুই বছর আগে ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট রানওয়েকে বাড়িয়ে করা হয় ৯ হাজার ফুট। পরে আরো ১ হাজার ৭শ ফুট বাড়ানোয় এর দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ১০ হাজার ৭শ ফুটে।শুরুটা ছিল চ্যালেঞ্জিং, সাগরের তলদেশ থেকে গড়ে তোলা হয় মূলভীত। বিশাল ঢেউ থেকে রক্ষায় তৈরি হয় শক্তিশালী বাঁধ। এপর্যন্ত স্থাপনাটির কাজ শেষ হয়েছে ৭২ ভাগ।বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘অক্টোবরে আমাদের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমাদের অর্থনীতির চাপ এসেছিল ফরেন কারেন্সিতে। আমরা এলসি খুলতে পারিনি। এর জন্য কিছু আইটেম ক্রয় করে আনতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আশা করি এ বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে।’
দেশের সবচেয়ে বড় রানওয়ে সম্পন্ন বিমানবন্দরটি নির্মাণে খরচ ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। অভ্যন্তরীণ রুটের জন্য প্রস্তুত হলেও, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হতে লাগবে আরো সময়।মো. মফিদুর রহমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিমান ডিকলেয়ার করা সময় সাপেক্ষের ব্যাপার। কিছু কিছু স্থাপনা সরাতে হবে। সেগুলো দখল হয়ে রয়েছে। এজন্য জেলা প্রশাসক, মন্ত্রণালয়, রাজনীতি ব্যক্তিবর্গের সাথে আলাপ করছি।
প্রতিদিন একটি কার্গোসহ ২৬টি ফ্লাইট চলাচল করে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে। পুরোপুরি চালুর পর সে সংখ্যা আরো বাড়বে বলে জানিয়েছেন উড়োজাহাজ পরিচালনার সাথে জড়িতরা।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন