
সজল চক্রবর্তীঃ
ফটিকছড়ি উপজেলায় লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ
উত্তর চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি বিদ্যুতের লোডশেডিং ও ভেলকিবাজি অসহনীয় পর্যায় পৌঁছেছে।যাঁর ফলে তীব্র দাবদাহ ও বিদ্যুতের অভাবে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
এছাড়া ফটিকছড়িতে ১৮টি চা বাগান, পোল্ট্রি ফার্ম, মিল কলকারখানা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামছে শুধু মাত্র বিদ্যুতের অভাবে। নির্দিষ্ট সময় ঘোষণাপূর্বক লোডশেডিং করার কথা থাকলেও ফটিকছড়িতে ধরাকে সরা তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।এদিকে, লোডশেডিংয়ের কারণে তীব্র দাবদাহে জনজীবন আরো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।
বিশেষ করে বাচ্চা ও বয়স্করা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। পড়া-লেখাও ঠিকমতো করতে পারছে না স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা। শুধু মাত্র দিনের বেলায় নয়, গভীর রাতেও চলছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি।
সব মিলিয়ে জনজীবনে ত্রাহিমাং অবস্থা।
ফটিকছড়ি জোনাল অফিস সূত্রে জানা যায়, একটি জেলার সমান ফটিকছড়িতে প্রায় ৩৫মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও এখন মিলছে চাহিদার অর্ধেক। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।স্কুল শিক্ষক আরিফ বলেন- বিদ্যুতের অতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার উপর বেশি প্রভাব পড়ছে।উপজেলা বিবিরহাটের ব্যবসায়ী রমেশ বলেন- দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৪ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ মিলছে না।উপজেলা পল্লী চিকিৎসক সমীরন চক্রবর্তী বলেন, মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রামের বয়স্ক রোগী এবং শিশুরা সবচেয়ে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
রোগীদের সময়মতো নেবুলাইজ করা যাচ্ছে না। অনেক রোগীকে আমরা উপজেলা হাসপাতালে রেফার করতে বাধ্য হচ্ছি।নাজিরহাট পৌরসভার কাউন্সিল র আমান উল্লাহ আমান বলেন, বর্তমানে ফটিকছড়ির প্রধান সমস্যা পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং। সমস্যাটি নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যাচ্ছে না।চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর আওতাধীন ফটিকছড়ি জোনাল অফিসের ডিজিএমের দায়িত্বে থাকা প্রকৌশলী ইয়াসিন আরফাত বলেন, ফটিকছড়িতে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়ায় লোডশেডিং সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলার চাহিদা ৩৫ মেগাওয়াটের বেশি। চাহিদার তুলনায় গ্রিড থেকে সরবরাহ করা হচ্ছে সর্বোচ্চ ১৫ মেগাওয়াট। আশাকরছি অতি শিগগিরই লোডশেডিং সমস্যার সমাধান হবে।
