
রাজীব চক্রবর্তীঃ
চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের সিবিটি প্র্যাকটিশনার ও সাইকোলজিস্ট এবং চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি মিস তানজিয়া রহমান বলেছেন, বর্তমান সরকার অটিজম বান্ধব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল অটিজম নিয়ে যেভাবে কাজ করছেন এটা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবীদার। তাঁর জন্যই আজকে আমরা এতটুকু সচেতন। বেশির ভাগ অটিস্টিক বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হজমজনিত সমস্যা থাকে। তাদের অনেকের খিচুনি হয়। এটা সাইকিয়াট্টিকদের যেমন কাজ না, সাইকোলজিস্টদেরও কাজ না, আমাদের সকলের সম্পৃক্ততা ও সচেতনতা দরকার। অটিস্টিকরা চার ধরনের হয়। যেমন-অটিজম ডিসঅর্ডার, ইন্টেলেকচুয়াল ডিসঅ্যাবিলিটি, সেরিব্রাল পালসি ও ডাউন সিনড্রোম। প্রতিটি এনডিডি ব্যক্তিকে একটি গ্রæপ সহযোগিতা করতে পারে। জেনারেল ডাক্তার, সাইকোলজিস্ট, থেরাপিষ্ট ও ফিজিওথেরাপিষ্টগণের সাপোর্টে অটিস্টিকদের বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করতে পারে। সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অটিস্টিকদের সার্বিক কল্যাণে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।গতকাল ২ এপ্রিল সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা কার্যালয় আয়োজিত ১৭-তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের আলোচনা সভায় মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয়-‘সচেতনতা-স্বীকৃতি-মূল্যায়নঃ শুধু বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধিও পথে যাত্রা’।

আলোচনা সভার পূর্বে সার্কিট হাউজের সামনে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম হার্ট ফাউন্ডেশনের সিবিটি প্র্যাকটিশনার ও সাইকোলজিস্ট এবং চট্টগ্রাম লেডিস ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি মিস তানজিয়া রহমান।
তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরা সবসময় অসহায়, তাদের পাশে সমাজের বিত্তবানদের দাঁড়াতে হবে, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। মানসিক ও অটিজম রোগীদের প্রতি সহনশীল আচরণ করতে হবে। তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি মানসিক ও অটিস্টিক রোগীকে পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থন দিতে হবে।
বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয়ের পরিচালক কাজী নাজিমুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও শহর সমাজসেবা অফিসার মোহাম্মদ আলমগীরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোঃ ফরিদুল আলম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেরিন সিটি মেডিকেল কলেজের শিশু স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ও নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডা. বাসনা মুহুরী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও অটিজম সংস্থা-স্পেকট্রা স্কুল অব অটিজমের চেয়ারপারসন ডা. ফাহমিদা ইসলাম চৌধুরী ও অটিজম সংস্থা-ফেয়ার’র যুগ্ম সম্পাদক প্রফেসর মোঃ আবুল হোসেন। সমাজসেবা অদিপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, অটিজম সংস্থা-প্রয়াস, আশার আলো, ফাউন্ডেশন ফর অটিজম রিসার্চ এন্ড এডুকেশন (ফেয়ার), নিষ্পাপ অটিজম ফাউন্ডেশন, প্রেরণা অটিজম সেন্টার, অটিস্টিক চিলড্রেন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সেহের অটিজম, দ্বিপালয় অটিজম চিলড্রেন একাডেমি, চিটাগাং অটিস্টিক সোসাইটি, সুইড বাংলাদেশ ও প্রশান্তি অটিজম স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
