২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

অন্তিম যাত্রা বেলুড় মঠের সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী স্নরণানন্দের

তরুণ বিশ্বাস ভারতঃ
২৭ মার্চ বুধবার রাত ৮টা ১৫ মিনিট। কলকাতা বেলুড়
মঠের সাংস্কৃতিক ভবন থেকে সন্নাসীদের কাঁধে বার করা হল ফুল মালায় সাজানো সঙ্ঘাধ্যক্ষ স্বামী স্নরণানন্দের নশ্বর দেহ। সন্নাসী,ব্রহ্মচারীদের ‘হরি ওম রামকৃষ্ণ’ধ্বনিতে মুখরিত চারিদিক।সঙ্গে ভক্তদের অশ্রুসজল নীরব নিবেদন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেল বেলুড় মঠ চত্বর। বৈদিক মন্রোচ্চারণের মধ্যে দিয়ে তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হল পুরনো মঠ চত্বরের আমগাছ তলায়। কয়েক মিনিট সেখানে শায়িত থাকার পরে সন্নাসীদের কাঁধে শ্রীমা সারদার মন্দির ছুঁয়ে নশ্বর দেহ নেয়া হল মায়ের ঘাটে। সেখানে স্বামী স্নরণানন্দের পার্থিব শরীরকে গঙ্গাস্নান করানোর পাশাপাশি সন্নাসী গৈরিক নতুন বস্ত্র পড়ানো হল।সঙ্গে দেওয়া হল সন্নাসীদের দন্ড ও ঝোলা। সেখান থেকে স্বামী বিবেকানন্দের সমাধী মন্দির হয়ে প্রেসিডেন্ট মহারাজের আবাসনের সামনে রাত ৯টা ২০ মিনিট নাগাদ নিয়ে আসা হয় পাশের অন্তোষ্টি স্হলে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নিয়মানুযায়ী গঙ্গার পুর্ব পাড়ে যেখানে প্রেসিডেন্ট মহারাজদের দাহ করা হয়েছে,সেখানেই চিতা।রাত ৯টা ৩৫ মিনিট থরে থরে চন্দন কাঠে সাজানো চিতাতে আগুন প্রজ্জলিত হতেই, উল্টো দিকে ম্যারাপ বাঁধা জায়গায় বসে থাকা ভক্তপ্রবর পুরুষরা জয়গুরু মহারাজজি জয় ধ্বনি ও মহিলাদের উলুধ্বনিতে এলাকাজুড়ে শোকের ছোঁয়ায় বিমোহিত হয়েছে,রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দাহ শেষ হয়। এ দিন বেলুড় মঠে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ,হাওড়ার মন্রী অরুপ রায়,সন্ধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো পুষ্পস্তবক নিয়ে প্রাক্তন মূখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Share on facebook
Share on whatsapp
Share on twitter
Share on linkedin
Share on print

আরও পড়ুন