মাসুদ পারভেজঃ

চট্টগ্রাম-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেছেন, সংবিধান অনুযায়ী ৫ বছর পরপর নির্বাচন হতে হয়। নির্বাচন যদি না হয়, দেশে জটিলতা দেখা যেতে পারে। বিএনপি যদি নির্বাচনে থাকতে তাহলে ভালো লাগতো। তারা নির্বাচনের ট্রেনে উঠতে আগ্রহী নয়। তারা নির্বাচনে না এসে আন্দোলনের নামে ধ্বংসাত্বক কাজে লিপ্ত হয়েছে।সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার আইয়ূব বিবি কলেজ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।চরপাথরঘাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল আহমেদ রেজার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হায়দার আলী রনি, ভূমিমন্ত্রীর একান্ত সচিব রিদ্ওয়ানুল করিম চৌধুরী সায়েমসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।ভূমিমন্ত্রী ভোটারদের উদ্দেশ্য করে বলেন, বিগত ১৫ বছর যে উন্নয়ন হয়েছে অন্য কোনো দল এভাবে উন্নয়ন করতে পারেনি। ৯৬ সালে উন্নয়ন হয়েছে, কিন্তু ষড়যন্ত্র করে ২০০১ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি।মন্ত্রী কর্ণফুলীর উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে বলেন, এই কর্ণফুলীতে উন্নয়নের মহাসড়কে দাঁড়িয়ে আছি আমরা। এখানে সংসদীয় আসন ছিলো আনোয়ারার সাথে, উপজেলা পরিষদ ছিলো পটিয়ার সাথে। এই উপজেলার মানুষের অবস্থা ছিলো ‘নাহ ঘরকা, নাহ ঘাটকা’ আজ আপনারা নিজেদের কর্ণফুলী উপজেলায় দাঁড়িয়ে আছেন। মডেল ফায়ার সার্ভিস হয়েছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হচ্ছে, মডেল মসজিদ হবে, উন্নয়ন হচ্ছে। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন ১৩ সালে, ১৪ ও ১৮ সালে। আমি চেষ্টা করেছি আপনাদের পাশে থাকতে। আমাকে আবারও নির্বাচিত করলে এ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে। আপনারা যদি আমাকে ভালোবাসেন তাহলে সকাল সকাল আমাকে ভোট দিতে যাবেন। আমি কথা দিচ্ছি এবার নির্বাচিত হলে চরপাথরঘাটায় কোনো কাচা রাস্তা থাকবে না।এর আগে, ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের হাজী জিন্নাত আলী চৌধুরী জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় শেষে মুসল্লীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।এরপরই রাত ৯টায় আনোয়ারা উপজেলার শাহ্ মোহছেন আউলিয়ার রুস্তমহাট বাজারে নির্বাচনী জনসভায় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বলেন, যে কোনো মুহুর্তে, যখন ইচ্ছে তখনই আমাকে কাছে পেয়েছেন। আমি কখনও আমার দল বা অন্য দলের লোকজনকে অশান্তিতে রাখিনি। কোনো অন্যায়কারীকে আশ্রয় দেইনি কখনও। আমাদের জন্য সবসময় ঘরের দরজা খোলা ছিলো, এখনও আছে। যখনই ইচ্ছে বিপদে আপদে আপনাদের পাশে ছিলাম, আগামীতেও থাকব।ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, সংবিধান মতে নির্বাচন না হলে তৃতীয় শক্তির উদ্ভব হবে। বিএনপি ভোটের ভয়ে নির্বাচনে আসেনি, তারা জানে জনগণ তাদের সাথে নেই, বিগত সময়ে ক্ষমতায় থেকে বিএনপি লুটপাট করেছে। আওয়ামীলীগ যে উন্নয়ন করেছে তার মূল্যায়ন করবে জনগণ। আমি বিগত সময়ে কি করেছি, তা আপনারা জানেন, আমি কখনো কোন দলের লোকজনকে অশান্তিতে রাখিনি, আমার ঘরের দরজা সবসময় সবার জন্য খোলা ছিল, এখনও আছে। আনোয়ারা-কর্ণফুলীর মানুষের জন্য আমার কাছে দলীয় পরিচয় ছিল না। আপনারাই আমার আপনজন।তিনি বলেন, তারেক জিয়া লন্ডন থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়। পলাতক ব্যক্তি আন্দোলন করবে কি ভাবে। বিদ্যুৎ বিল গ্যাস বিল না দিলে সংযোগ কেটে দেবে তখন তারেক জিয়া কি করবে। ট্রেনে আগুন দিয়ে আন্দোলন করছে নাকি মানুষ মারছে তার আপনারা বিচার করবেন। দ্রব্য মূল্যের দাম বেড়েছে এটা সারাবিশ্বে করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যদ্ধের কারণে। এটা স্বাভাবিক হয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ্। আমরা আগামীতে ক্ষমতায় গেলে চেষ্টা করব দ্রব্য মূল্যের দাম কমাতে। সরকার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, বিধবা ভাতা, গৃহহীনদের ঘর, সব কিছুই দিয়েছে, এখন আপনার সরকারকে আপনারাই কি করবে তা দেখব।বটতলী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আনোয়ারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম.এ মান্নান চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য এসএম আলমগীর চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল হক চৌধুরী, আওয়ামীলীগের উদেষ্টা মহিউদ্দিন আহমেদ টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ মালেক, গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সদস্য রাশেদ রিভেল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা রবিউল হায়দার, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা আলী আজগরসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।