মোজাম্মেল হক নোয়াখালী প্রতিনিধি:
চাটখিলে সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে-এটা দেখার কেউ নেইনোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিগত বছরের ন্যায় এবারও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রায় সকল প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে। এটা দেখার কেউ নেই। গত বছর অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ব্যাপারে অভিভাবকদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় একাধিক খবর প্রকাশিত হয়।এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কৃর্তপক্ষের মতামত জানতে চাইল তারা তদন্ত পূর্বক বিহীত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন জানালেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কি কারণে তা নেওয়া হয় না, তা রহস্যজনক। যেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে এই অবস্থায় অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের অতিরিক্ত অর্থ জোগান দিতে ধার-দেনা করতে হচ্ছে। এমনকি অনেকে বিভিন্ন এনজিও থেকে চড়া সুদে ঋণ গ্রহন করছে।
খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, চলতি বছর কুমিল্লা বোর্ডের ফরম পূরণ ফি বিজ্ঞান বিভাগ ২হাজার ১শ ৪০টাকা, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা বিভাগের ২ হাজার ২০টাকা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো কোচিং সহ বিভিন্ন ফি নাম বলে ৮/৯ হাজার টাকা আদায় করছে। কিন্তু এই টাকার কোন রশিদ দেওয়া হয় না। চাটখিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফি দেখিয়ে এবং জামানত ফি নামে অতিরিক্ত ৩হাজার টাকা সহ মোট ৯/১০ হাজার টাকা আদায় করে আসছে। কিন্তু এই টাকার কোন রশিদ দেওয়া হয় না। এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) এমরান হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জামানাতের ৩হাজার টাকা সহ ৯ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয় স্বীকার করলেও কেন জামানত নেওয়া হচ্ছে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এদিকে ফাওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬হাজার টাকা করে ফি আদায় করা হলে ও কোন রশিদ দেওয়া হয় না। ফাওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়ন্ত কুমার চক্রবর্তী টাকা আদায়ের কথা স্বীকার করে বলেন, বোর্ড ফি সমপরিমান রশিদ দেওয়া হচ্ছে অন্য ফি রশিদ ছাড়াই আদায় করা হয়। এছাড়া অন্যান্য বিদ্যালয়েও ৬ থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব অতিরিক্ত টাকা আদায়ের কোন রশিদ দেওয়া হয় না।এবিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. আসাদুজ্জামান এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, শুধু পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে অনেক সময় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় না। এসময় তিনি, বোর্ড নির্ধারিত ফি থেকে অতিরিক্ত কোন টাকা, কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদার করলে ভুক্তভোগী অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন।