জনসভা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে বলে জানালেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান।তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর জনসভার সময়সূচি পরিবর্তন করা হয়েছে। জনসভা দুপুর ২টায় হওয়ার কথা ছিল। এখন সকাল ১০টায় জনসভা শুরু হবে। একইসঙ্গে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। পতেঙ্গা প্রান্তে টানেলের নামফলক উন্মোচনের পরপরই প্রধানমন্ত্রী জনসভায় যোগ দেবেন। জনসভায় অন্তত ১০ লাখ মানুষ উপস্থিত থাকবে। এ লক্ষ্যে দক্ষিণ জেলা ছাড়াও নগরী ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জোর প্রচারণা চালাচ্ছে।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরে টানেলটি নির্মাণ করা হয়েছে। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৩২ কিলোমিটার। চার লেন বিশিষ্ট দুটি টিউবের প্রতিটির দৈর্ঘ্য ২ দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। গত বছরের ২৬ নভেম্বর টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের একটি টিউবের পূর্তকাজের সমাপ্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়লি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া মূল টানেলের পশ্চিম ও পূর্ব প্রান্তে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক এবং আনোয়ারা প্রান্তে ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ফ্লাইওভার থাকবে। ২০১৫ সালের নভেম্বরে অনুমোদন পায় প্রকল্পটি। ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা। শুরুতে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৮ হাজার ৪৪৬ দশমিক ৬৪ কোটি টাকা। পরে তা বেড়ে ১০ হাজার ৩৭৪ দশমিক ৪২ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। এর মধ্যে চীনের এক্সিম ব্যাংক ২ শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ দশমিক ১৯ কোটি টাকা দিচ্ছে। বাকি টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘টানেল নির্মাণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এখন বড় ধরনের কোনও কাজ নেই। চলছে শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি কাজ। দুটি টিউবই প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানেল উদ্বোধনের পরই যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’