নিউজ ডেক্সঃ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরকার ও দেশবিরোধী গুজব ঠেকাতে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগের ওয়েব টিম। দলটি শিগগিরই সারা দেশে শুরু করছে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা। এ লক্ষ্যে হয়েছে প্রশিক্ষকদের জন্য প্রশিক্ষণ ‘দ্য ড্রিল’।রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) গাজীপুরে দ্য ড্রিলের কালীগঞ্জ উপজেলা শাখা পর্ব উদ্বোধন করা হয়। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানই আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। গুজব রোধ ও সরকারের উন্নয়ন বার্তা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের কর্মীরা। সে লক্ষ্যে শুরু হয়েছে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা।’কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে দেশ-বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে চলছে নানা অপপ্রচার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়াচ্ছে গুজবের ডালপালা। সবশেষ ওই তালিকায় ইস্যু হিসেবে যোগ হয়েছে ভিসানীতি।যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি কার্যকরের ঘোষণা শুরুর পরই প্রধানমন্ত্রীর পরিবার, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়ে ছড়ানো হচ্ছে গুজব। ভিডিও কন্টেন্ট হিসেবে তা প্রচার হচ্ছে ফেসবুক ও ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।ছড়িয়েপড়া এসব কন্টেন্টে অনেকের নাম-পরিচয়ও তুলে ধরা হচ্ছে। কোথাও ১৬৭ জন, কোথায় ৪১৭ জন, আবার কোথাও বলা হচ্ছে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে হাজারের বেশি বাংলাদেশি। তবে বাস্তবতা হলো, দেশটির আইন অনুযায়ী ভিসা নিষেধাজ্ঞায় থাকা কারো নাম প্রকাশ করে না যুক্তরাষ্ট্র। তালিকা প্রকাশ না করা নিয়ে একাধিকবার বিবৃতিও দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এর মধ্যেই চলছে সজীব ওয়াজেদ জয়ের সম্পদ নিয়ে ভিত্তিহীন তথ্যের গুজব।মিথ্যে ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে এমন অপপ্রচার গ্রাম-গঞ্জের মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এতে বিভ্রান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এমন বাস্তবতায় তৃণমূলে গুজব ঠেকাতে দেশজুড়ে বিশেষ কর্মশালার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ওয়েব টিম। মূলত দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে - এমন সব গুজব প্রতিহত করতেই এ উদ্যোগ।দেশের প্রতিটি জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়কে লক্ষ্যে রেখে এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রশিক্ষকদের কর্মশালার আয়োজন করা হয়।মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে এখন স্মার্ট বাংলাদেশে পা রেখেছি। প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়িয়ে অপপ্রচারের জবাব দিতে আওয়ামী লীগের সব কর্মীকে অনলাইনে সক্রিয় থাকতে হবে।’আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ও সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, ‘সব ভোটারের কাছে পৌঁছানোই আওয়ামী লীগের লক্ষ্য। এছাড়া সরকারের উন্নয়ন বার্তা ছড়িয়ে দেয়ার পাশাপাশি গুজব ঠেকানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখতে হবে। গুজবের বিরুদ্ধে আমাদের এ অনলাইন যুদ্ধ করে যেতে হবে।’আয়োজকরা বলেন, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম, ম্যাসেঞ্জার, ফেসবুক, টিকটক, জিমেইল, ইউটিউব ও টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া ও মেসেজিং প্লাটফর্ম ব্যবহার করে গুজব প্রতিহত করা ও উন্নয়ন বার্তা প্রচারের বিভিন্ন কলাকৌশল শেখানো হবে এ কর্মশালায়। প্রাথমিকভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ প্রশিক্ষণ পরিচালনা করা হলেও পরবর্তীতে জেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে তা বিস্তৃত করা হবে বলে জানায় আওয়ামী লীগের ওয়েব টিম।