তাপস কুমার ঘোষঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবে দলিয় পদ ফেরত পেতে কেন্দ্রিয় নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষনে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল ১০টায় কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের হলরুমে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেণ উপজেলা গনপতি গ্রামের শেখ ইমামুল ইসলামের ছেলে সাবেক প্রধান সমন্বয়ক ছাত্রনেতা শেখ রাকিব হোসেন (২৬)। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ সরকারী ডিগ্রি কলেজ শাখার সাবেক যুগ্ন আহবায়ক, (তারিখ-৩/৯/১৮ইং) ৯নং মথুরেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি (তারিখ- ০১/১২/২০২২ইং তারিখে অনুমোদিত কমিটি)। আমি আগামীতে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিলে আমার নামে সম্পুর্ণ পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে যোগসাজোসে অপ-প্রচারের মিশনে নেমেছে উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শেখ পারভেজ ইসলাম। যার কললিস্ট যথাযথ তদন্তের সার্থে সংযুক্ত করা হলো। এছড়া রাতের আধারে বানানো ছাত্রলীগের কমিটির প্যাডে আমার নাম এডিট করে বসিয়ে ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্ত করে এবং কোনরকম তদন্ত ছাড়াই আমাকে দল থেকে অব্যহতি প্রদান করে। কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শেখ পারভেজ ইসলাম এবং মথুরেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল-হাসানের কাছে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে একটি প্রত্যয়ন চায়, যার ভিডিও আমার নিকট সংরক্ষিত আছে। বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতন আন্দোলনে কালিগঞ্জ উপজেলায় সম্মুখ সারি থেকে প্রধান সমন্বয়ক হিসাবে আমি ভূমিকা পালন করেছি। আমার বিরুদ্ধে বিগত সময় থেকে একটি কুচুক্রিমহল শত্রুতার জের ধরে বিভিন্ন ভাবে অহেতুক হয়রানী ও ব্যাক্তিস্বার্থ হাছিল করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তীতে আমার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজীর অভিযোগ এনে একজন মহিলার দ্বারা ভিডিও রেকর্ডিং করে। উক্ত বিষয়ে আমি পূর্বে কালিগঞ্জ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছিছিলাম, যার সাধারন ডায়েরী নং-১১০২, তারিখ- ২৪/০২/২০২৫ ইং এবং আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর, একটি অভিযোগও দায়ের করি। যার প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে একটি প্রতিবেদন প্রদান করেছেন। বর্তমানে কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শেখ পারভেজ ইসলাম এর প্রত্যাক্ষ সহায়তায় ও তাহার পরামর্শে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার নাম ২০১৯ সালে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কমিটিতে সুপার এডিট এর মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করে। যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমুলক। আসল বিষয়টি যাচাই বাচাই করলে দেখা যাবে উক্ত পারভেজ ইসলাম এর সাথে মথুরেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি /সাধারন সম্পাদকদের একাধিকবার কথাপকথন হয়েছে আমাকে বিতর্কিত করার জন্যে। আমি ও আমার পরিবারবর্গ অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সাথে জড়িত আছি। গত ৫ই আগস্ট পরবর্তী সময়ে আমি সামাজিক ও জনকল্যানমূখী কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখায় এবং কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী হওয়ায় উক্ত শেখ পারভেজ ইসলাম ও তার কথিত অনুসারীরা ইর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপ-প্রচার চালাচ্ছে এবং হয়রানী করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। এছাড়া আমাকে জড়িয়ে গত ইং-১৭/০৭/ ২৫ তারিখে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইনে কু-রুচিপূর্ণ সংবাদ প্রকাশ করে মানহানির চেষ্টা করেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এছাড়া তার সহযোগীরা আমার ছাত্রদলের বিভিন্ন নেতাকর্মীকে জীবন নাশের হুমকি ধামকি দেওয়া হচ্ছে। আমি বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করছি, যাতে সুনির্দিষ্ট তদন্ত স্বাপেক্ষে অনতি বিলম্বে কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়ন ছাত্রলের সিনিয়র সহ- সভাপতির পদ বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার সহ আমাকে যাতে পুনরায় সহ- সভাপতির পদে বহাল রেখে আগামীতে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি তাহার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ২০১৬ সালে মথুরেশপুর ইউনিয়নের ধানের শিষের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী শেখ নাজমুল ইসলাম বাবু। তার সাথে বিগত সময়ে আমি উপস্থিত থেকে তার নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা করেছি। মথুরেশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ¦ শেখ আব্দুল করিম, মথুরেশপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সাধারন সম্পাদক ও সাবেক থানা যুগ্ন সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক শেখ আমিনুর রহমান মুন্না এবং ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।