রুদ্র ডেক্সঃ
বাংলাদেশের রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় রেল বেষ্টিত একটি সরকারি জমিতে গড়ে উঠা শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সরকার কর্তৃক ভেঙে ফেলা হয়। কেন মন্দিরটি ভাঙা হলো? প্রশাসনিক পক্ষ জানিয়েছে যে এটি রেলের ‘অবৈধ দখল’, তবে স্থানীয় সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায় হিংসার এক অপবাদের শিকার বলছেন।প্রতিবেদিত মতে, দূর্গা মন্দির ভাঙার কয়েক দিন আগে উগ্রবাদীরা জোরালোভাবে মন্দির অপসারণের হুমকি দিয়েছে; “মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে মন্দির সরিয়ে নিতে হবে” বলে ধমক দেয়া হয়, যদিও পুলিশ স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় রেখেছে ।তবে এই ঘটনা শুধু জমির মালিকানা নিয়ে নয় এতে উগ্রবাদীদের রাজনীতি ও প্রশাসনের মোহরায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপাসনালয় ধ্বংসের চিত্র উঠে এসেছে, যা তাদের উপর একটি ঐতিহাসিক ও সাংবিধানিক আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।বাংলাদেশের রাজনৈতিক-সাম্প্রদায়িক প্রেক্ষাপটে এমন ঘটনা একা নয়—ইতিপূর্বে দেশের অন্য বিভিন্ন অঞ্চলে মন্দিরে ভাঙচুর, প্রতিমা ধ্বংস ও উপাসনালয় বন্ধের ঘটনা ঘটেছে ।এই ঘটনায় শুধু জমির মালিকানের প্রশ্ন নয়, বরং প্রেসার, উস্কানি, অসামাজিক হিংসা এবং রাজনৈতিক স্বার্থের মিশ্রণে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর একটি পরিচালিত নির্মূল শিপ্রতিক্রিয়া চালু রয়েছে এবং এর প্রতিফলন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংবিধান রক্ষায় বড় এক সংকট হয়ে দেখা দিয়েছে।
যদিও প্রশাসনের দাবি আছে এটি একটি ‘অবৈধ স্থাপনা’, মন্দির ভাঙার পেছনে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত যাচাই-বাছাই হয়নি—তাছাড়াও উস্কানিমূলক সাম্প্রদায়িক চাপ ও স্থানীয় কুলাঙ্গারদের সহিংস তৎপরতা বিবেচনায়, এটি শুধু জায়গার মালিকানা নয়—এতে লুকিয়ে রয়েছে একটি অপূর্ণ ইতিহাস নির্যাতিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর প্রতিশোধজনক হিংসার।