রতন রায় :
দেশব্যাপী হিন্দু নির্যাতন, নিপীড়ন ও মঠ-মন্দিরে হামলার প্রতিবাদ এবং ৮ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এবার রংপুরে বিভাগীয় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। এ কর্মসূচি ঘিরে বিভাগের হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নানা প্রস্তুতি নিচ্ছেন।আগামী ২২ নভেম্বর রংপুর জেলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠেয় এ সমাবেশে জাতীয় হিন্দু মহাজোট ও সংখ্যালঘু মোর্চাসহ অন্যান্য সকল হিন্দু সংগঠনের নেতাকর্মীরাও অংশ নেবেন।বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের ৮ দফা দাবীসমুহ১. সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন।২. অবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন।৩. সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন।৪. হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’-এ উন্নীত করাসহ বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মীয় ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে রূপান্তর।৫. ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন’ প্রণয়ন এবং ‘অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন’-এর যথাযথ বাস্তবায়ন।৬. সরজগুলোতে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ ও প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা কক্ষ বরাদ্দ করা।৭. ‘সংস্কৃত ও পালি শিক্ষাবোর্ড’ আধুনিকায়ন৮. দুর্গাপূজায়কারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলে ৫ দিন ছুটিসহ প্রতিটি সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটির ব্যবস্থা করা।জানা গেছে, সমাবেশে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের কেন্দ্রীয় কমিটির মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, সহ-মুখপাত্র গোপীনাথ ব্রহ্মচারী, রংপুর বিভাগের সমন্বয়ক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, মানিক চৌধুরী, রতর রায়,সুজন রায়, আলোক ঘোষ, রবীন্দ্রনাথ, অপু, প্রদীপ, মিহির রায় প্রমুখ উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বিভাগের বিভিন্ন জেলার ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নেবেন।এর আগে, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশেও বিপুল সংখ্যক হিন্দু অনুসারী অংশ নিয়েছিলেন। এই আন্দোলন কোন সরকারের বিপরীতে নয়, এই আন্দোলন দেশকে সংকটে ফেলানোর আন্দোলন নয় এটি শুধুমাত্র সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রাপ্য দাবি আদায়ের আন্দোলন মাত্র। এই আন্দোলনকে দলীয় প্রভাব ট্যাগ না লাগানো অনুরোধ করেছেন মুখপাত্ররা । আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপর কোন প্রকার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন হিন্দু নেতারা। শান্তিপূর্ণ ভাবে সমাবেশ সফল করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেছেন সমগ্রসনাতনীরা ।