আনোয়ারা প্রতিনিধি :

আমি ব্রাহ্মণ, আমি খুব বেশি ধর্মতত্ত্ব জানি। আমাকে শেখাতে হবে না। কোন ব্রাহ্মণ কিভাবে বিবাহ করায় এবং কত বার প্রদক্ষিণ করায় তা আমার জানা। আমাকে জ্ঞান দিতে আসবে কোন খাঙ্খির পোলার ব্রাহ্মণ।
গত ১৯ জুন রাতে গোল্ডেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টার, আনোয়ারায় এক বিবাহ অনুষ্ঠানে সাতপাকের সম্পর্কে জানতে চাইলে পন্ডিত শ্রী কনক ভট্টাচার্য্য উচ্চস্বরে কথাগুলো বলেন। বিবাহ অনুষ্ঠানে কনের পক্ষের আত্মীয় শ্রী কনক ভট্টাচার্য্যকে জানার জন্য প্রশ্ন করেন, আপনারাতো অনেক বিবাহ কার্য সম্পাদন করেন, বিবাহে মালাবদলের আগে কত পাক প্রদক্ষিণ করা হয়। তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, আমার কার্য্য আমি করেছি। কোন খাঙ্খির পোলার ব্রাহ্মণ আছে আমাকে এই নিয়ে প্রশ্ন করার। আমি জানি কোন ব্রাহ্মণ কিভাবে বিবাহ কার্য্য সম্পাদকন করে, ব্রাহ্মণদের মারে...? এই নিয়ে অভিযোগকারি তাকে বলেন আমি আপনার কাছ থেকে জানতে চাইছি আপনি উত্তোজিত হচ্ছেন কেন। বিবাহে কতপাক প্রদক্ষিণ করা হয়। এনিয়ে অভিযোগকারির সাথে শ্রী কনক ভট্টাচার্য্য’র কথা কাঠাকাটি হয়। পরে তার সাথে থাকা সহকারী পুরোহিত তিনি উচ্চস্বরে বলেন, আমি আনোয়ারার থানার ব্রাহ্মণদের নেতৃত্ব দিয়ে আসছি। আপনি তাকে (শ্রী কনক ভট্টাচার্য্যকে) প্রশ্ন করণে কেন। তিনিও উচ্চস্বরে বলেন আমাকে শেখানোর ব্রাহ্মণ আনোয়ারা থানায় জন্ম গ্রহণ করেনি। কোন খাঙ্খির পোলার ব্রাহ্মণ আমার বিচার করতে আসবে তাকে দেখে নিব।
অভিযোগকারী তাঁদের কথা শুনে নিরবে চলে আসেন এবং প্রতিবেদককে বলেন।উক্ত অভিযোগের ব্যাপারে পন্ডিত শ্রী কনক ভট্টাচার্য্যরে মোবাইল নাম্বার বন্ধ থাকায় তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কোন উত্তর পাওয়া যায়নি।